শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০০৯

নেকাবের খপ্পরে সোয়াইন ফ্লু !!!

নেকাবের খপ্পরে সোয়াইন ফ্লু !!!: "ধর্মের অনুশাসন অনুযায়ী কেউ যদি বোরকা বা নেকাব পরেন তাহলে আমার কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে কোন বোরকাওয়ালী দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারণ তারা তখন হয়ে যায় নকলের ডিপো। এটা একদম ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।

পশ্চিমা বিশ্বেও এই বোরকা নিয়ে কম হৈচৈ হয় না। সাম্প্রতিক ফ্রান্স তো তাদের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেকাব নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ই-মেইলে পাওয়া ছবিগুলো শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। ছবিতে নেকাবের ব্যবহারের চমৎকার কনট্রাস্ট দেখানো হয়েছে। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে ছবিগুলো স্রেফ আনন্দের জন্য দেখুন :)

























"

হেরে গেল পশ্চিমের নাস্তিকতার অহংকার?

হেরে গেল পশ্চিমের নাস্তিকতার অহংকার?: "কদিন আগে আমারব্লগে পড়লাম কেউ কেউ লিখেছেন মন্দির মসজিদে কনভার্ট হবার খবর জানেন না।উল্টো ওনেক উল্টাপাল্টা মন্তব্য লিখেছেন। গুয়ানতানামো কারাগারে ইসলামের বিজয় প্রায়ই পত্রিকার পাতায় নানা ঘটনার কথা, ব্যক্তিত্বের কথা মুদ্রিত হয়। এসবের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও মুদ্রিত হয়। তবে তা সবার কাছে সমান গুরুত্ব পায় না। অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও নানা কারণে পত্রিকায় তেমন গুরুত্বের সাথে ছাপা হয় না, ফলে তা রয়ে যায় অনেকের অবগতির বাইরে। যেমন ?গুয়ানতানামো বে'তে মার্কিন প্রহরীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ'-এর খবরটি। এই খবরে বলা হয়, ইউএস আর্মির স্পেশালিস্ট টেরি হলব্রুকস ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়েছেন। আর তিনি ইসলাম গ্রহণ করার প্রেরণা পেয়েছেন ?গুয়ানতানামো বে ডিটেনশন সেন্টারে' সন্ত্রাসী হিসেবে আটক আহমেদ ইরসিডির কাছ থেকে। আহমেদ মরক্কোর নাগরিক। তবে মাত্র চার মাসের মধ্যে একজন আমেরিকানকে তিনি কনভার্ট করতে সক্ষম হবেন, এটা যেন অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য।



উল্লেখ্য যে, গুয়ানতানামো বে'তে ডিটেনশন সেন্টারটি স্থাপনের পরই ২০০৪ সালে হলব্রুকস সেখানে যান। তার দায়িত্ব ছিল আরও অনেকের সাথে ঐ সেন্টার পাহারা দেয়া এবং রুটিন অনুযায়ী কয়েদীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা। তার আরও দায়িত্ব ছিল কয়েদীরা যাতে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে, এমনকি বাথরুমের কাজ সারার নামে কেউ যাতে কারো সাথে দৃষ্টি বিনিময়ও করতে না পারে। এমন কঠোর প্রহরার মধ্যেও হলব্রুকসের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে আহমেদের। গভীর রাতে আহমেদের সেলের সামনে ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে বাকবিনিময় করতেন হলব্রুকস। এভাবেই তিনি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে হলব্রুকস ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। আরবী ও ইংরেজি ভাষায় ইসলাম সংক্রান্ত গ্রন্থ সংগ্রহ করেন এবং অব্যাহত থাকে তাদের দু'জনের মধ্যে মতবিনিময়ও। ইসলামের জীবন দর্শন সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়ে অভিভূত হন হলব্রুকস। সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায় ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। একদিন হলব্রুকস ছোট্ট এক টুকরো কাগজ ও একটি কলম ঢুকিয়ে দেন আহমেদের সেলে। তাতে তিনি ইংরেজি ও আরবীতে লিখে দিতে বলেন ?শাহাদা' এবং শাহাদার মর্মার্থ। কাগজটি হাতে পেয়ে উৎফুল্লচিত্তে হলব্রুকস শাহাদা উচ্চারণ করেন এবং আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয় এই বক্তব্য চিৎকার করে জানান দেন ডিটেনশন সেন্টারের সবাইকে। এই হলো এক মার্কিন সেনা সদস্যের ইসলাম গ্রহণের সংক্ষিপ্ত কাহিনী।



সংবাদটি ৩০ মার্চ নিউজ উইকে ?দ্য গ্রাউন্ড হু ফাউন্ড ইসলাম' শিরোনামে মুদ্রিত হয়। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর বন্দীরা তাকে ডাকতো মুস্তফা নামে। হলব্রুকস অবশ্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ২০০৫ সালে সামরিক বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন। তবে এখানে উল্লেখ করা যায় যে, শুধু হলব্রুকস নন, অপর এক মার্কিন সেনাও তার পরপরই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় যে প্রশ্নটি আজ বড় হয়ে উঠেছে তাহলো, সন্ত্রাসী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হলো তাদের কাছে মার্কিন সৈন্যরা এভাবে পরাভূত হলো কেন? এর রহস্য কি? এ প্রসঙ্গে বলা প্রয়োজন যে, শুধু গুয়ানতানামো বে কারাগারে নয়, খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এখন প্রতিবছর হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন। আর ইসলাম গ্রহণের এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে নাইন-ইলেভেনের পর থেকে। অর্থাৎ যখন থেকে ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে, তখন থেকেই ইসলাম গ্রহণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে পর্যবেক্ষকরা উপলব্ধি করেছেন, নাইন-ইলেভেনের পর সন্ত্রাসের সাথে ইসলাম ও মুসলমানকে ব্যাপকভাবে জড়িত করায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি। এদের মধ্যে যারা ইসলাম ও মুসলমানদের জানার কষ্ট স্বীকার করেছেন, তারা উপলব্ধি করেছেন বাস্তবতার সাথে পাশ্চাত্যের প্রপাগান্ডার তেমন মিল নেই। ফলে তাদের ভুল ভেঙ্গেছে এবং তাদের অনেকেই গ্রহণ করেছেন ইসলাম। নাইন-ইলেভেনের পর ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে যে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছিল তার অন্তঃসারশূন্যতা এখন পৃথিবীবাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে ঘরে-বাইরে ইমেজ সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ কারণেই আমেরিকার বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রহণ করেছে সংস্কার কর্মসূচি।



ইসলাম ও মুসলমানের নামের সাথে টেরোরিস্ট, এক্সট্রিমিস্ট, ফান্ডামেন্টালিস্ট ইত্যাদি নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে নতুন এক গাইড লাইনও তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এসব বিষয় মূল্যায়ন করলে উপলব্ধি করা যায়, মিথ্যা প্রপাগান্ডা দিয়ে সত্যকে বেশিদিন ঢেকে রাখা যায় না। সত্য একদিন প্রকাশ পায়ই। আর তখন সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগে আটক আহমেদদের কাছে পরাজয় মেনে নিতে হয় হলব্রুকসদের। অবশ্য এই পরাজয়ে লজ্জার কিছু নেই। কারণ সত্যের বিজয় আসবে যখনি হোক না কেন।

"