সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০০৯
এক্স-রেটেড ক্লিপে যখন খুঁজে পাই নববধুর মুখ
উল্লাসে ভরে গেল “অ” এর মুখটা, সোৎসাহে চেঁচায়, “কি মামা! কৈ কৈছিলাম? শালা আমার চোখ তো না স্ক্যনার! মিল্যা গেলগা, কি কও!”
হতভম্ভ চেয়ে থাকি, আমি “ধ”, অবশ্য “অ” শালার সদ্য আবিষ্কারে হাত-পা কেমন যেন পেটের ভেতরে সেঁধিয়ে যেতে বসেছে, “ধ” থেকে একেবারে হাঁটু ভাঙা “দ” হতে চলেছি যেন।
অনেক দিন বাদে কলেজ লাইফের “পর্ন মাস্টার” “অ” এর সাথে দেখা, ছুটিতে এসেছে আরেকটা বিভাগীয় শহর থেকে। কিছুক্ষন আড্ডা মেরে নিয়ে এলাম বাসায়, সারা রাত আড্ডা মারবো। খেয়ে দেয়ে ল্যাপিটা খুলে গত ক’বছরের তোলা কিছু ছবি দেখাচ্ছিলাম। একটা এন্গেজমেন্ট এর কটা ছবি ছিলো এক ছোট ভায়ের।
নিরীহ গোবেচারা ছেলে, বিদেশি বৃত্তি পেয়ে এমএস করতে বাইরে যাচ্ছে। একমাত্র ছেলেকে বাবা মা প্রায় কোলে করেই রেখেছিলেন এতদিন। মায়ের খুব ভয়, ছেলেটাকে কোন মেয়ের আশেপাশে ভীড়তে দেননি তো বটেই, কোন মেয়ে ওর দিকে ইন্টারেস্ট দেখালে দুনিয়া লয় করে ফলেছেন তিনি, সেই ছেলে একা একা বাস করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় পুরুষখেকো মেয়েগুলোর দেশে, কি না জানি ঘটে যায়!
তার’চে ছেলেটাকে বিয়ে দিয়ে পাঠাইনা কেনো?! বুদ্ধি খেলে যায় মায়ের মাথায়, বাবাও সম্মতি জানান, ছেলে বিয়ের কথা শুনে পাকা টমেটো হয়ে যায়, দেখে ভাবি লজ্জায় হার মানে সদ্য কিশোরীও।
দারুন ফিউচার, লক্ষি ছেলে - সুন্দরী পাত্রী জুটতে দেরি হয় না, দারুন স্মার্ট মেয়ে, পড়ছে প্রথম সারির একটা বেসরকারি ইউনিতে। ধুমধাম করে এনগেজমেন্ট। যাবার আগে কদিন দুজনে উড়ে বেড়ানো ঢাকা শহরে, যখন খুশি - দুই পরিবার বরং খুশিই এতে, যেটুকু সময় পাও, নিজেদের বুঝে নাও।
ফোঁড়ন কাটি, ‘কি রে ব্যাটা, চেহারায় বেশ জেল্লা মারে যে!”
মুখ টিপে হাসে, “ও না দারুন স্মার্ট, কত্ত এ্যাডভান্সড! আমি এতদিন কি নিরস ভাবতাম জীবনটা!”
“ভালো থাকিস, জলদি ফিরিস।” - হাসি আমি।
সেই স্মৃতিমাখা ছবি গুলো, দেখাই “অ” কে।
“মামা, এই মাইয়ারে কৈ যানি দেকছি” - চোখ ছোট ছোট করে প্রানপন মগজটা হাতড়ায় “অ”।
“আরে দেখতেই পারিস, অসম্ভব কি, ঢাকা এলেই তো পক্ষিদর্শন করে বেড়াস ইউনি গুলোর মোড়ে মোড়ে, শালা লুচ্চা” - মতামাত দেই আমি।
“আরে না ব্যাটা, অইন্য কেইস” বলতে বলতে ল্যাপিটা টেনে নেয় “অ”, নিজের অনলাইন ফাইল স্টোরেজে লগইন করে বসে, কি যেন খুঁজতে থাকে।
আমি কফি বানাতে উঠে যাই, ফিরে এসে এক মগ কফি বাড়িয়ে দিয়া সিগ্রেট জ্বালিয়ে মন দেই নিজের মগে।
একটু পরে উল্লাসে ভরে যায় “অ” এর মুখটা, সোৎসাহে চেঁচায়, “কি মামা! কৈ কৈছিলাম? শালা আমার চোখ তো না স্ক্যনার! মিল্যা গেলগা, কি কও!”
ভুল নেই, একই মেয়ে, স্টিল ছবি গুলো এনগেজমেন্টের দিনে নিজে তুলেছি আমি, আর ভিডিওটা কোন হিডেন ক্যামের।
হতভম্ভ চেয়ে থাকি, আমি “ধ”, অবশ্য “অ” শালার সদ্য আবিষ্কারে হাত-পা কেমন যেন পেটের ভেতরে সেঁধিয়ে যেতে বসেছে, “ধ” থেকে একেবারে হাঁটু ভাঙা “দ” হতে চলেছি যেন।
মিনিট দশেক পরে শেষ হয় ক্লিপটা।
“হেব্বি না মালটা?” জানতে চায় “অ”, “পোলাডা ক্যাডা, মানে যার গলায় ঝুললো?”
“ঘুমা” - রাফ গলায় জবাব দেই আমি।
তারপর ঘুমোতে চলে যাই।
"
বাংলা ই-বুকের সন্ধানে
উপন্যাস ( প্রেম / রোমান্টিক ) আমার খুব একটা ভাল লাগে না । তবু..."
আপনার ভিএলসি প্লেয়ারে শুনতে থাকুন ২৪ ঘণ্টা বাংলা গান
ভার্সনে পৃথীবির বিভিন্ন ভাষার রেডিও'র সাথে যুক্ত হয়েছে অনলাইন বাংলা রেডিও। প্রায় ৮-৯ টা বাংলা রেডিও স্টেশন আছে।
কম স্পীডের লাইনেও নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শুনতে পাবেন এই গান। গান শুনতে VLC playerঅন করে ক্লিক করুন-
menu>>Service Discovery> southcast radio..."
ফ্রি ডাউনলোড করুন Avg Internet Security 9 ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিরিয়াল সহ
ক্যাস্পারস্কাই এর KEY বার করার এক জটিল সফ্টওয়ার (কাজ করবে)।
software পাই , যার সাহায্যে আমরা যখন তখন Kaspersky Antivirus [...]"
লন্ডনের নতুন আসা শিক্ষার্থীরা (ভিডিও আপলোডেড)
শোনা যাচ্ছে এসব প্রতিবেদনকে আশ্রয় করে হোম অফিসের 'ফেও' ছাত্রদের পিছু লাগবে। কিছু অসৎ কলেজ (নানা দেশী) এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। রিসেশন কাটানোর প্রাথমিক ধাক্কা এসব স্টুডেন্টদের পয়সা দিয়ে সামলানো যাচ্ছে। কিন্তু অধিক শিক্ষার্থীর কারণে জনসংখ্যার হার লাঘব করতে 'ভিসা রিনিউ' রিফিউজ করা শুরু হয়েছে। আমার পরিচিত ২ জনের ভিসা রিফিউজ হয়েছে। মনে রাখবেন, এখন ভিসা পাওয়া যতো সহজ, ভিসা রিনিউ ততো কঠিন। যারা ১/২ বছরের ভিসা নিয়ে এসেছেন আগামী ২০১২ অলিম্পিকের আগে ভিসা রিফিউজের মাধ্যমে দেশে ব্যাক করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে পারে হোম অফিস।
শুধু বাংলাদেশী নয় আফ্রিকান দেশ সহ উপমহাদেশের সকল দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী এসেছে। তাই সবাইকে রাস্তায় সাবধানে চলতে ফিরতে অনুরোধ করছি। আফ্রিকান ছেলেপেলেরা গায়েগতরে শক্তিশালী, গভীর রাতে রাস্তায় আপনাকে হাইজ্যাক করে শেষ সম্বলটুকুও ছিনিয়ে নিতে পারে। এখন ফ্রডের পাল্লায় পড়তে পারেন, বিশেষত পাকি এবং তামিলদের থেকে সাবধান। কিছুদিন আগেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক বৃটিশ পাকি ১৯ জন বাংলাদেশীদের সোজা ইউকে বর্ডার এজেন্সীর ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। এদের মধ্যে মাত্র ১ জন মুক্তি পেয়েছে।
যদি চাকরিও পানও তারপরও ২০ ঘন্টার বেশি কাজ করবেন না যেন। কর্মস্থলে 'রেইড' দেয়া চালু আছে। রাতের লন্ডন
দেখার জন্য অযথাই সেন্ট্রাল লন্ডন ঘুরে বেড়াবেন না। বৃটিশ গভর্ণমেন্টের 'স্টপ এন্ড সার্চ' পলিসি আপনাকে খামোখাই হয়রানিতে ফেলবে। আপনার 'ওয়েস্টার কার্ড' ঠিকমতো মেইনটেইন করবেন। এ ওয়েস্টার কার্ডের লগ দেখে যাচাই করতে পারে আপনি কলেজে ঠিকমতো গিয়েছেন কিনা। ধরা যাক আপনার কলেজ হোয়াইটচ্যাপেলে, আপনি থাকেন লেইটোনস্টোন। সপ্তাহে তিনদিন আপনার ওয়েস্টারে হোয়াইটচ্যাপেল-লেইটোনস্টোন (ক্লাসের সময়সূচি মিলিয়ে) লগ যেন থাকে সেটা ঠিক রাখবেন।আবারো বলছি - যদি ৬/৮ মাস নিজ খরচে চলতে পারেন তবেই শিক্ষার্থী হয়ে লন্ডনে আসুন।
ভিডিওর লিংক ফেসবুকে দেয়া আছে। সবার অনুমতিতে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে বলে ভিডিওটি ব্লার করে দেয়া হলো না।
*** ***
"
বাংলাদেশের লোকজন কি জানে না লন্ডনে কি হচ্ছে?
ট্রেনে আসতে আসতে তার এ দেশে আসার কাহিনী শুনলাম। জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা খরচ হয়েছে আসতে? 'ভাই সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৪০ হাজারের মত। ইস্ট ব্যংক কলেজ এ বি বি এ করতে এসেছি।'
তার পারিবারিক অবস্থা আর অন্যান্য কাহিনী শুনে লন্ডনের পরিস্তিতি সম্পর্কে কিছু বলতে ইচ্ছে হলনা।ফোন নাম্বার দিয়ে বললাম কখনো দরকার হলে কল দিয়েন। জানি ১৯ বছরের ছেলেটি আমাকে নিশ্চিত কল করবে। একটি কাজ দরকার, থাকার জায়গা দরকার। আর আমি এও জানি আমি তার জন্য কিছুই করতে পারবনা। প্রতিদিন এত অনুরোধ। আর কত। রাতে খেতে বসে ঠিক মত খেতে পারলাম না। ১৯ বছরের সহজ সরল ছেলেটির চেহারাটা বার বার মনে হচ্ছে। জিজ্ঞেস করছিল ভাই ৩৫০ পাউন্ড দিয়ে কয় মাস চলতে পারবো। আমি বললাম পারবেন।কিছু দিন পারবেন, আশা করি সমস্যা হবেনা।
লন্ডনের রাস্তায় রাস্তায় ছেলেদের আহাজারি কি দেশে লোকজন জানছে না। যদি জেনে থাকে তাহলে কেন এখনো এত ছেলে অন্ধকারের দিকে পা দিচ্ছে? আর কত কষ্ট দেখলে দেশের লোকজন এ দেশে আশা বন্ধ করবে? ব্লগে অনেকের মন্তব্য দেখে অবাক হলাম। এসব বলে নাকি কোন লাভ নেই। ভাই লাভ-লোকসানের কথা বাদ দেন। আলতাফ আলী পার্ক অথবা হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশনে গিয়ে দেখে আসুন আমাদের ভাইয়েরা কিভাবে দিন কাটাচ্ছেন। দেশের টিভি, পত্রিকা এখনো কিভাবে চুপ করে বসে আছেন জানি না। দয়া করে সবাইকে বলুন লন্ডনের অবস্থা ভয়াবহ। লন্ডনে না খেয়ে মরার চেয়ে দেশে ১ বেলা অভুক্ত থাকা হাজার গুনে ভাল।
"
পাওয়ার ব্লগিংয়ের জন্য ২৭টি আকর্ষনীয় ফায়ার ফক্স এ্যাডঅন্স।
ব্লগারদের জন্য প্লাগ্ইন্স গুলো প্রয়োজনীয় যারা সহজে জব পেতে চায়। কাজ করার সময় সীমার পূর্বে সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য ফায়ার ফক্সের এ্যাডঅন্স গুলো সাহায্য করে। সাধারণ ব্লগারদের [...]"
রোমেল এবং লিভ-টুগেদার - সহাবস্থান? নাকি সহ-বাস?
দরজা খুলতেই একটু অপ্রস্তুত হলাম, দরজা খুলছে একটা মেয়ে এবং আদিবাসী - রোমেলের চৌদ্দ পুরুষ বাঙালি এবং বরিশাইল্যা বলে জানি, এটা কে? মেয়েটাকে আগেও দেখেছি আমার বাসার ল্যান্ডিংএ, মনে পড়লো, পাশেইতো রোমেইল্ল্যার দোকান! হুম, এই কথা! বান্ধবী জুটেছে সেবাযত্নের জন্যে!
ব্যাটাকে দেখতে এসেছি শুনে ভেতরে যেতে দিলো। গিয়ে দেখি শালা মহা আনন্দে মুরগীর হাঁড় চিবোচ্ছে । আরেক ধাক্কা! হাস্যোজ্জ্বল রোমেলের ঘরটা বেশ সাজানো গুছোনো, ঠিক বিবাহিত মানুষের মত, মানে ছন্নছাড়া ব্যাচেলর আর বিবাহিত মানুষের ঘরের যা পার্থক্য তাই চোখে পড়লো। মেয়েটাও বেশ নিজের সংসারের মতই গিন্নিপনা করছে, খেতে অপরাগতা জানালে একটু মন খারাপ করলো, কৈলাম , 'চল মামু, চা গিলি।'
একটাই খটকা, শালার বাচালটা বৌর সাথে পরিচয় করায়না ক্যান?
পর্দা ঘেরা দোকান, রমজানে বোরখা আরকি। চা খাইতে বইসা ধরলাম চাইপা, 'কি মামু! শাদি করলা কওনাই ক্যান?' হ্যাটা হাসে, 'আরে মামু, আমারে বিয়া করবো কেডা? মাস গেলে পাই ছয় হাজার ট্যাকা, ফকিরের মাইয়া ছাড়া কেডায় মালা দিবো গলায়?' কৈলাম, 'সাইড কাইটো না মিয়া, গুঁতা খাইবা।'
ঝুলি খুললো রোমেইল্ল্যা, মেয়েটার সাথে পরিচয় প্রায় বছর, আদিবাসী মেয়ে, পড়াশুনা করেছে কিছুদুর, ঢাকাতে ছোটখাটো চাকরি করে কাছেই। বাবা-মা বেশ গরীব আর অসুস্থ, মেয়ের পাঠানো টাকা সংসারে বেশ লাগে, বিয়ের পরে হয়তো পারবে না, এই ভয়ে মেয়ে বিয়ে করছে না। আবার বাবা-মা আদিবাসী ছেলে ছাড়া অন্য কোন ছেলে মেনে নেবেন না জামাই হিসেবে।
রোমেলও প্রায় তাই, বাবা-মা গ্রামে, বোন দুটো বিয়ে দিতে হবে। রোমেল বড় ছেলে, ম্যাট্রিকের পরে সংসারের হাল ধরা, নানা ঘাটের পানি খেয়ে এখন ঢাকাতে, শ্রম বেঁচে, দেখতে শুনতে ভালো। ওদের পার করার যোগাড় করতেই হিমসিম, নিজের বিয়ে কবে হবে কে জানে।
পরিচয়ের পরে, ভালোলাগা, ভালোবাসা। বিয়ে নিয়ে দু'পরিবারেই সমস্যা হবে, তাই এক সাথে থাকা। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ছোট্ট ঘুপচি একটা দেড়-কামরার বাসা, দুজনের মোট আয়ের অর্ধেকটাই চলে যায় এখানে, খাওয়া পরার পরে যা থাকে দুজনার উদ্বৃত্ত, যার যার বাড়ীতে পাঠায়।
'মামু, কবে কপাল ফিরবো কে জানে, তাই লিগ্যা বয়সতো থাইমা থাকে না, দুইজনেই তাই কতা-বার্তা কৈয়া একলগে থাকি, লিপটুগেদার আরকি। ভালোবাসা করি, সময় হৈলে দিন ফিরলে বিয়াও করুম অরে।' - এভাবেই জানায় রোমেল, আমাদের রোমেইল্ল্যা, মোড়ের দোকানের কর্মচারী।
আরো নানা প্রসংগ পরে আসল কথা ওঠে, একটা কাজ ছিলো, কাজটা সেরে ফিরি পুরোনো বাসায়, এখনো এটা আমার জিম্মায়, শেষ কিছু ছোটখাটো কাজ সেরে রিক্সা নিই, নতুন বাসার উদ্দেশ্যে।
ফাঁকা রাস্তা, একটা চিন্তা মনে আসে, লিভ-টুগেদার, বাংলাটা কি হবে? সহাবস্থান ? নাকি সহ-বাস?
(ব্যাপক ফাউল পোষ্ট, মাইর দিতে চাইলে ঈদের দিনে শিডিউল দেন, হাজির হৈয়া যামু, বৈদেশিরা ভিসা ছাড়া শিডিউল দিলা আইবার পারুম না।)
পূর্ব প্রকাশ : আমার আস্তানা"
আদিবাসী সুর, আদিবাসী গান

আজ এ গানের তালে হৃদয় দোলে
মিঠে বাতাস যায় রে বয়ে
হলুদ ধানের দোদুল দোলায় পিয়াসী মন দোলে
ও লো সুজন আমার ঘরে তবু আইলো না
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলো না?
ঐ কোকিলাটার কুহু কুহু কার লাগি গো বাজে
এই কালো মেয়ের এমন দিনে মন লাগে না কাজে
ওই দূরে কোথাও রাখাল বাঁশি পাগল হাওয়ায় ভাসে
ও লো সুজন আমার ঘরে তবু আইলো না
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলো না?
নাক সেজেছে নাকছাবিতে কান সেজেছে দুলে
কালো কপালে কুমকুম আর খোপার বাঁধন চুলে
ঐ পচিম কোণে সুয্যি ডোবে আন্ধারে মন কাঁদে
ও লো সুজন আমার ঘরে তবু আইলো না
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলো না?
ডাউনলোড
শুরু করলাম একটা সাঁওতালী সুরে গাওয়া বাংলা গান দিয়ে। গানে গানে ভালোবাসা এলবামে অঞ্জন দত্তের গাওয়া আমার প্রিয় একটা গান।
আমার চেহারায় মনে হয় কিছুটা আদিবাসী ভাব আছে। ছোট কুতকুতে চোখ, বোচা নাক...রাঙ্গামাটিতে এ নিয়ে বন্ধুরা কম ত্যক্ত করেনি। যাই হোক, দু-দুবার ব্যাকটুব্যাক রাঙ্গামাটি ট্যুর দেয়ায় আদিবাসী আর তাদের সংস্কৃতির প্রতি আমার যে অল্প-স্বল্প টান তৈরি হয়েছে তার ফলশ্রুতিতে এ লেখার আগমন। আদিবাসী গান নিয়েই এই পোস্ট। দুয়েকটা গান আদিবাসী সুরের ঢঙ্গে গাওয়া, একটু অদ্ভূত টানে গাওয়া বাংলা গান। উপরের প্রথম গানটার কথা তো বললাম ই, বলা হয়নি এলবামটার কথা। এ লেখায় প্রাসঙ্গিক না হলেও বলে রাখি, বাংলাদেশের নিমা রহমান আর কোলকাতার অঞ্জন দত্তের কথোপকথন ধরণের এলবাম। দুটো মানুষের চিঠি চালাচালি, আর ফাঁকে ফাঁকে গান। বেশ কয়েকটা ভালো গান রয়েছে এলবামটায়। আপাতত উপরের একটা গানই শুনে দেখুন।
এরকম কিছুটা আদিবাসী টানে গাওয়া আরেকটা বাংলা গানঃ লাল পাহাড়ির দেশে যা... কোলকাতার ব্যান্ড ভূমির কন্ঠে বেশ লাগে। শুনতে শুনতেই পাহাড়ের দেশে চলে যাবার অনুভূতি হয়।
লাল পাহাড়ি দেশে যা
রাঙ্গামটির দেশে যা
ইত্থাক তুকে মানাইছে না রে
ইক্কেবারে মানাইছে না রে
লাল পাহাড়ি দেশে যাবি
হাঁড়ি আর মাদল পাবি
মেয়ে মরদের আদর পাবি রে
ও নাগর...
ও নাগর...
ইক্কেবারে মানাইছে না রে
লাল পাহাড়ি দেশে যা
রাঙ্গামটির দেশে যা
ইত্থাক তুকে মানাইছে না রে
ইক্কেবারে মানাইছে না রে
নদীর ধারে শিমুলের ফুল
নানা পাখির বাসা রে, নানা পাখির বাসা
সকালে ফুটিবে ফুল
মনে ছিল আশা রে, এমন ছিল আশা
তুই ভালোবেসে গেলি চলে
কেমন বাপের ব্যাটা রে তুই কেমন ব্যাটা?
লাল পাহাড়ি দেশে যা
রাঙ্গামটির দেশে যা
ইত্থাক তুকে মানাইছে না রে
ইক্কেবারে মানাইছে না রে
ভাদর মাসে ভাদু পূজা
ভাদু গানের ঘটা
ঐ কালো মেয়েটার মন মজেছে
গলায় দিব মালা রে তার গলায় দিব মালা
তুই মরবি তো মরে যা, ইকেবারে মরে যা
মরবি তো মরে যা, ইকেবারে মরে যা
ইত্থাক তুকে মানাইছে না রে
ও নাগর...
ও নাগর...
ইক্কেবারে মানাইছে না রে
ডাউনলোড
সম্প্রতি অর্ণব আর তার বন্ধুরা নতুন এলবাম অর্ণব এন্ড ফ্রেন্ডস লাইভে এ গানটাই আবার গেয়েছেন। যদিও কথায় বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, আমার ধারণা গানটা লোকজ একটা গান। মানুষের মুখে মুখেই গানের কথা পাল্টে গেছে। অর্ণবের কন্ঠে গানটায় আদিবাসী টানটাও কম এসেছে। তারপরেও দুটো দুরকম সুন্দর। শুনে দেখুন অর্ণব আর তার বন্ধুদের গাওয়া গানটা।
লাল পাহাড়ির দেশে যা
রাঙ্গামাটির দেশে যা
এখানে তোকে মানাইছে নায় গো
এক্কেবারে মানাইছে নায় গো
আরে ওখানে গেলে মাদল পাবি
মেয়ে মরদের আদর পাবি
মরবি তুই মরে যা
এক্কেবারে মরে যা
এখানে তোকে মানাইছে নায় গো
এক্কেবারে মানাইছে নায় গো
আরে নদীর ধারে শিমুলের ফুল
নানা পাখির বাসা রে, নানা পাখির বাসা
কাল সকালে ফুটিবে ফুল
মনে ছিল আশা রে, মনে ছিল আশা
তুই ভালোবেসে গেলি চলে
কেমন বাপের ব্যাটা রে তুই কেমন ব্যাটা?
মরবি তুই মরে যা
এক্কেবারে মরে যা
এখানে তোকে মানাইছে নায় গো
এক্কেবারে মানাইছে নায় গো
ডাউনলোড
ফড়িং এলবামে সাধনার একটা গানঃ চন্দ্র জাগিছে
সাম্প্রতিক মনচোরা এলবামে টি. ডব্লিউ সৈনিক গেয়েছেন এমনি দুটো গান, আদিবাসী ঢঙ্গে গাওয়া।
১. আম পাতা
২. হাড়িয়া রে
বাংলা ভাষার হলেও কিছু শব্দ দুর্বোধ্য, তাই ভুলভাল লিরিকস আর দিলাম না। তবে শুনে দেখুন, ভালো লাগবে। এর মধ্যে হাড়িয়া রে গানটা চা বাগানের সাওতালীদের গান।
সব শেষে রইলো সত্যিকারের আদিবাসী গান। এতোক্ষণ ধরেই অনেক গানের কথা বললাম। তবে এর প্রতিটাই বাংলা গান, আদিবাসী ঢঙ্গে আদিবাসী সুরে গাওয়া। এবারে যে পাঁচটা গানের লিঙ্ক দিলাম, এ পাঁচটা গানই আদিবাসী ভাষায় আদিভাষী সুরে গাওয়া পুরোপুরি আদিবাসী গান। গানগুলো রাঙ্গামাটি থেকে সংগ্রহ করেছিলাম।
গান পাঁচটা ডাউনলোডের লিঙ্কঃ
http://www.box.net/shared/vr2jfaurn8
http://www.box.net/shared/nq7u9xhsmz
http://www.box.net/shared/5dm45otb8p
http://www.box.net/shared/5vprxb55nr
http://www.box.net/shared/lnujacd1ee
এ পাঁচটা শুনে আরও শুনতে আগ্রহী হলে এ ফোল্ডারটি দেখতে পারেন । ফোল্ডারের ট্রাক ১,২,৩,৪,৬ এর লিঙ্ক উপরে দেয়া হয়েছে।
ভালো থাকুন। ঈদ মোবারক।
ছবিসূত্র"
বাংলা উইকিপিডিয়া-তে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার এক পাতায়। তবুও দয়া করে বাংলা উইকি তে কাজ করুন
বাংলা উইকিপিডিয়াতে কাজ করতে আগ্রহী অনেকেই আছেন , কিন্তু অনেক সময় এতে কাজ করার বিভিন্ন সফটঅয়্যার সংগ্রহে না থাকার কারনে শুরুতেই এর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়। বিশেষ করে ইউনিকোডে বাংলা লিখার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। আমি এখানে চেষ্টা করব উইকিপিডিয়াতে কাজ করতে যেসব সফটঅয়ার খুব জরুরী, সে সবের ডাউনলোড লিংক দিয়ে দিতে।
ইউনিকোডে বাংলা লেখার সফটঅয়্যার
উইকিপিডিয়াতে লিখতে হয় ইউনিকোডে। এখানে জব্বার সাহেবের বিজয়ের বেইল নাই। ইউনিকোডে বাংলা লিখার জন্য বেশ কিছু সফটঅয়্যার রয়েছে। জনপ্রিয় ইউনিকোডে বাংলা লিখার সফটওয়্যারের নাম ও ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া হল।
১. অভ্র । (খুব সহজ ইন্টারফেস। এতে আরও কয়েকটি লেআউটে এবং ফোনেটিকে বাংলা লেখা যায়।) । অভ্রর একটি পোর্টেবল ভার্সনও রয়েছে Click This Link
২. http://ekushey.org/?page/uni_joy_layout’ target=’_blank’ >ইউনিজয় (অনেকটা বিজয়ের কাছাকাছি লেআউট। তবে এ লেআউট অভ্রতেও পাবেন। ফোনেটিকে লিখা যায় না। ফিক্সড লেআউটের ছোট্ট এবং সুন্দর একটি সফটঅয়্যার)
এদের যেকোন একটি ডাউনলোড করেই আপনি উইকিপিডিয়ায় লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারেন। তবে আমার মনে হয় অভ্র দিয়ে শুরু করাই ভাল। কারন বাকি গুলোর লেআউট এতে পাওয়া যাবে আর এটি দিয়ে ফোনেটিকে বাংলা লিখা যায়। যারা ফোনেটিক বিষয়ে জানেন না তাদেরকে বলছি, এটি এমন একটি লিখার পদ্ধতি, যাতে আপনি লিখবেন ইংরেজি দিয়ে কোন বাংলা উচ্চারণ,আর আপনি পেয়ে যাবেন আপনার উচ্চারিত বাংলা শব্দটি একদম বাংলা অক্ষরে। যেমন আপনি যদি A M I অক্ষরগুলো পরপর কিবোর্ডে টাইপ করেন, তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন “আমি” শব্দ টি। অভ্র-র হেল্প ফাইলে এর ব্যাবহারের নিয়মাবলি সুন্দর করে বাংলায় লিখা আছে।
আবার কোনো সফটওয়ার ইন্সটল না করেও বাংলা লেখা যায়, যেমন
http://www.bangla.org.bd/
http://bnwebtools.sourceforge.net/
http://phpxperts.net/phonetic/example.html
এছাড়া সরাসটি সা মু ব্লগের “নতুন ব্লগ লিখুন” অপশনে এসে বাংলাতে যা লিখতে চান তা লিখে ফেলুন। তারপর লেখাটি কপি করে উইকিপিডিয়া এডিটরে পেষ্ট করে দিন।
ইউনিকোড কনভার্টার
আর জব্বার মিয়া যদি আপনার আত্নীয় লাগে, আর তার প্রতি মায়া বসত বিজয় কে আপনি ছাড়তে না পারেন, তবুও সমস্যা নাই। আপনি বিজয়েই লিখুন, কিন্তু লেখা শেষে একে ইউনিকোডে রূপান্তর করতে হবে। এজন্য বেশ কিছু টুল রয়েছে।
১. নিচের ওয়েব লিংকে একটি ওয়েব টুল রয়েছে। এই ওয়েব পেজের নিচের ঘরে ইউনিকোড ছাড়া প্রচলিত বাংলায় লেখা টেক্সট ইউনিকোডে পরিবর্তনের পেস্ট করুন এবং বক্সের উপরে এটি কোন ধরনের টেকস্ট সেটি সিলেক্ট করুন। এরপরে “ইউনিকোডে বদলে উপরে নাও” বাটনটি চাপুন, আপনার ইউনিকোড টেক্সটটি পেয়ে যাবেন উপরের ইউনিকোড এডিটরে।পেজটির ওয়েব লিংক হল- http://bnwebtools.sourceforge.net/
এই পেজটি সম্পূর্ণ ডাউনলোড করে আপনি বারবার ব্যবহার করতে পারবেন ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই। এ পেজটি ডাউনলোড কররে আর একটি সুবিধে পাবেন। এর উপরের বক্সটিতে নির্দিষ্ট যেকোন একটি কীবোর্ড লেআউট সিলেক্ট করে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লিখতে পারেন কোন সফটঅয়্যারের সাহায্য ছাড়াই!!!
এছাড়া ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ইউনিকোডে রূপান্তরের জন্য নিচের টুলগুলি ব্যবহার করতে পারেন
২.বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কতৃক প্রকাশিত ইউনিকোড কনভার্টার। কনভার্টারের জন্য যদি আপনার কাছে .NET2.0 ইন্সটল করা থাকে বা ব্যাকআপ থাকে তবে ক্লিক করুন এখানে । এটার আকার ১৩ মেগাবাইট।
আর যদি না থাকে তবে ক্লিক করুন এখানে। Click This Link
এটার আকার ৩৯ মেগাবাইট।
ইউনিকোড বাংলা ফন্ট
ইউনিকোডে বাংলা লিখার জন্য আরও প্রয়োজন হবে “ইউনিকোড বাংলা ফন্ট”।নিচে বেশ কিছু জনপ্রিয় বাংলা ফন্টের নাম এবং তার ডাউনলোড লিংক দিয়ে দিলাম।
১.সোলায়মান লিপি Click This Link (প্রমিত বাংলা ফন্ট)
আরও স্টাইলিস ফন্ট চাইলে নিচেরগুলো ডাউনলোড করতে পারেন।
http://omicronlab.com/bangla-fonts.html
২.বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কতৃক প্রকাশিত ৫টি ইউনিকোড ফন্ট। Click This Link
অন্তত পক্ষে সোলায়মান লিপি ফন্ট টি ডাউনলোড করুন, অন্য গুলো ডাউনলোড না করলেও চলবে।
ডাউনলোড করা ফন্টগুলো জিপ করা থাকলে এক্সট্রাক্ট করুন , তারপর Start> control panel \Fonts তে পেস্ট করুন।
নিজের কম্পিউটারে বাংলায় সবকিছু সুন্দর ভাবে দেখতে হলে…
নিজের কম্পিউটারে বাংলায় সবকিছু সুন্দর ভাবে দেখতে হলে নিচের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করুন।
১. ডাউনলোড করা সোলায়মান লিপি ফন্ট টি Start> control panel >Fonts তে পেস্ট করুন।
২. Start> control panel> Regional and language options>Languages এ গিয়ে Install fioles for complex script and right-to-left languages(including thi) এর পাশে টিক চিহ্ন দিন। এর পর উইন্ডোজ এক্সপির সিডিটি সিডি রমে ঢুকিয়ে দিয়ে Apply এবং Ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন। পিসি রিস্টার্ট চাইবে, রিস্টার্ট দিন।
৩. নিচের লিংক থেকে ফন্ট ফিক্সার সফটঅয়্যারটি ডাউনলোড করুন
ফন্ট ফিক্সার ।
৪. এতে ডাবল ক্লিক করে সফটঅয়্যারটি চালু করুন। Choose a Font from the list থেকে SolaimanLipi সিলেক্ট করে Fix it চাপুন। পিসি রিস্টার্ট চাইবে, রিস্টার্ট দিন।
সমাধান হয়ে গেল আপনার সকল ফন্ট সমস্যার সমাধান। এবার বাংলা উইকিপিডিয়াতে গেলে ব্রাউজারে বাংলা অক্ষরের বদলে চারকোনা বাক্স বা বাঁকাতোড়া ছোট ফন্টে লেখা বা লেখা ভেঙে ভেঙে দেখাবে না। বাংলা দেখতে পাবেন একদম চকচকে ঝকঝকে অক্ষরে। এমন কি এখন আপনি এই কম্পিউটারের যেকোন ফাইল, ফোল্ডার, ড্রাইভের নাম বাংলায় লিখতে পারবেন!!! উপরের যেকোন ইউনিকোডে বাংলা লিখার সফটঅয়্যার ব্যবহার করে আপনি এ কাজটি করতে পারবেন।
আরও একটি সফটঅয়্যার…
মনে করুন আপনি এমন একটি পিসি তে কাজ করছেন যাতে আপনি শুধু মাত্র ইউজার একাউন্ট থেকে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে পিসি টিতে আপনি কোন সফটঅয়্যার ইন্সটল করতে পারবেনা, ফন্ট কপি করতে পারবেন না। আগে থেকে ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইন্সটল করা না থাকলে আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া পড়তে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনি নিচের Banglasavvy সফটঅয়্যারটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে বাংলা উইকিপিডিয়া ভালভাবে পড়তে পারবেন।
সফটঅয়্যারটির ডাউনলোড লিংক হল- Click This Link (এটিকে অনেক অ্যান্টিভাইরাস ভাইরাস হিসেবে ডিটেক্ট করে ডিলিট করে দেয়। ভয়ের কিছু নেই। আমি দীর্ঘ দিন থেকে এটি ব্যবহার করছি। অ্যান্টিভাইরাসের ডিলিট করা এড়াতে একে জিপ করে রাখুন।)
একটি সহজ ডাউনলোডযোগ্য প্যাকেজ
উপরে উইকিপিডিয়াতে কাজ করতে যেসব সফটঅয়ার খুব জরুরী, সে সবের বর্ণনা ও ভিন্ন ভিন্ন ডাউনলোড লিংক দিয়ে দিলাম। এর সবগুলো কিন্তু ডাউনলোডের প্রয়োজন নেই, প্রতিটি ক্যাটাগরির একটি করে ডাউনলোড করলেই চলবে। আমি আপনাদের আরও সুবিধার জন্য উপরের প্রত্যেকটি ক্যাটাগরি থেকে একটি করে নিয়ে একটি ছোট্ট প্যাকেজ তৈরি করেছি, যা আপনি নিচের মিডিয়াফায়ার লিংক থেকে এক ক্লিকেই ডাউনলোড করতে পারেন। এতে আছে-
১.ইউনিজয়।(ইন্সটলের যাবতীয় বর্ণনা ফোল্ডারটির ভেতরে দেওয়া আছে।)
২.সোলায়মান লিপি ফন্ট।
৩.ইউনিকোড কনভার্টারের ওয়েব টুল।(কোন সফটঅয়্যার ইন্সটল করা ছাড়াই, এখানে সরাসরি ইউনিকোডে বাংলাও লিখা যায়)
৪.font_fixer_1.0.5
৫.Banglasavvy
৬. উইকিপিডিয়া কি এবং কেন প্রয়োজন সে বিষয়ে রাগিব হাসানের “উইকিপিডিয়াঃ জনমানুষের বিশ্বকোষ” শীর্ষক লেখার একটি কপি।(তবে এতে কিছু তথ্য পুরানো হয়ে গিয়েছে।)
৭.বাংলা উইকিপিডিয়ায় কাজ করার জন্য খুব সাধারন কিছু টিউটোরিয়াল , যা বাংলা উইকিপিডিয়ার টিউটোরিয়াল পাতা থেকে নেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে এ পাতাটি প্রতি নিয়ত উন্নয়ন করা হচ্ছে। সর্বশেষ সংস্করন টি পেতে এই ঠিকানায় যান Click This Link
প্যাকেজটির ডাউনলোড লিংক হল- http://www.mediafire.com/?ymsgoytb0l4
এর আকার মাত্র ৩.০১ মেগাবাইট (.rar ফরম্যাটে রয়েছে)। আশা করি এগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
উপরে কোন কিছু বাদ পড়ে থাকলে দয়া করে জানাবেন, আমি আপডেট করে দেব।
জাতিসংঘের অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বাংলায় “বাংলাকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা করে দিন,বিশ্বের ২৫ কোটির বেশি মানুষ বাংলায় কথা বলে…” এসব প্যাচাল পাড়লে চলবে না। বরং বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে বাংলা এমন একটি ভাষা যা দিয়ে বিশ্বের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ জ্ঞানচর্চা করেছে, সুতরাং এটি জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা হবার দাবী রাখে। বাস্তবতা হল বাংলা আমাদের কাছে হয়ে গিয়েছে শুধু মাত্র সাহিত্যের, ঘরোয়া কথাবার্তার, বক্তৃতার ভাষা। আর জ্ঞান বিজ্ঞানের ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংরেজি। জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা যে বাংলাতেও সম্ভব এ কথা আমরা নিজেরাই বিশ্বাস করি না। বাঙালী জাতির লোকজন তো আর আজ কাল থকে জ্ঞান চর্চা করছে না। তবু্ও উচ্চ শিক্ষার জন্য কয়টি বই বাংলায় রচিত হয়েছে তা এক নিঃশ্বাসেই বলে দেওয়া যায়। বাংলাকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা করে দিলে আমাদের কি যাবে আসবে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। প্রসঙ্গান্তরে চলে যাবার জন্য দুঃখিত।
যাহোক আবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। সব কথার শেষ কথা জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব কিছুকে বাংলায় আনতে হবে। আর তার শুরু হতে পারে উইকিপিডিয়ার মত বাংলা বিশ্বকোষ বা জ্ঞান ভান্ডার তৈরি করে। আপনার-আমার বাংলায় লিখা একটি লাইনই হবে এই জ্ঞান ভান্ডারের একেকটি অমূল্য রত্ন। তাই আসুন প্রতিদিন অন্তত একটি করে লাইন লিখে(এর জন্য ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না।) আমরা উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করি।
কোন কিছু বোঝার সমস্যা হলে জানাবেন, সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তবুও দয়া করে বাংলা উইকি তে কাজ করুন।
উইকিপিডিয়া কি? এতে কিভাবে অবদান রাখতে পারবেন, সে বিষয়ে রাগিব ভাই, বেলায়েত ভাই সহ অনেকেই লিখেছেন। নিচে তেমনি কিছু লেখার লিংক দিয়ে দিলাম।
বাংলা উইকিপিডিয়ার ৫ বছর – নিতে হবে আরও অনেক দূরে
বাংলা উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করুন
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[ লেখাটি সামহোয়্যারইন ব্লগের সাদাচোখ এর ব্লগ থেকে তার অনুমতিসাপেক্ষে কপি করা হয়েছে। ]
Posted in ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ডাউনলোড, বাংলায় টেকনোলোজি

ফুল স্পিডে ডাউনলোড করুন সবকিছু লেটেস্ট ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার আইডিএম ৫.১৮ দিয়ে। ফুল ভার্সন (প্যাচসহ) (সরাসরি ডাউনলোড লিঙ্ক) তারাতারি ডাউনলোড করুন
ইন্টারনেট ব্যবহার মাত্রই সময় অসময়ে ডাউনলোডের প্রয়োজন হয়। কম বেশি সবাই আমরা ডাউনলোড করতে থাকি। মাঝে মধ্যে দেখা অনেক বড় একটা ফাইল ডাউনলোড করার সময় বিদ্যুৎ চলে গেল বা অন্য কোন সমস্যা হল তখন নতুন করে আবার প্রথম থেকে ডাউনলোড করতে হয়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী জিনিস হচ্ছে যে কোন ডাউনলোড ম্যানেজার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা। এইসব সফ্টওয়্যার ব্যবহার করলে আপনি ইচ্ছা করলে Download Pause করে আবার Resume করতে পারবেন। অর্থাৎ ডাউনলোড চলাকালীন সময়ে সাময়িক বন্ধ করে আবার পুনরায় চালু করতে পারবেন এবং ডাউনলোড স্পীড পাবেন ব্রাউজারের তুলনায় মোটামুটি অনেক বেশি। ডাউনলোড ম্যানেজারের মধ্যে আমার পছন্দ ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার। ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজারের বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে।
সর্বশেষ ভার্সনটি হচ্ছে ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার আইডিএম ৫.১৮
নতুন ভার্সনে আরও অনেক সুবিধা যোগ করা হয়েছে এবং পূর্ববর্তী কিছু ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে। তাই এটি আগের ভার্সনের চেয়ে আরো ভালভাবে কাজ করবে।
নিচে কয়েকটি ডাউনলোড লিঙ্ক দেওয়া হল।
আমি নিজে ডাউনলোড করে ব্যবহার করছি। কোন সমস্যা হয় নি
কোন সমস্যা হলে জানাবেন আর ভাল লাগলে মন্তব্য করবেন।
মোঃ মাহাবুবুর রহমান মাছুম
masumpdb@gmail.com
ছায়াছবি- নিউ ইয়র্ক

নিউ ইয়র্কে ঘটে যাওয়া ৯/১১ এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এফবিআই বারশত বিদেশী বংশোদ্ভূত নাগরিককে অবৈধভাবে হরণ করে, নির্বাসনে পাঠায় আর প্রায় তিন বছর ধরে অমানবিক নির্যাতন করে।সরকার তাদের কারোরই কোন যোগসূত্র খুঁজে পায়নি এই ঘটনার সাথে। এমনকি তাদের মধ্য থেকে এক হাজার জনের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীরা ফিরে আসতে পারেনি তাদের স্বাভাবিক জীবনে। জুন ২০০৬, জর্জ বুশ বলেন যে- আমি অত্যাচারের নির্দেশ কখনও দেইনি, আমি কখনই অত্যাচারের নির্দেশ দেব না।এই দেশের মূল্যবোধ এমন যে- অত্যাচার আমাদের আত্মা ও অস্তিত্বের অংশ নয়। ২২ শে জানুয়ারী ২০০৯, আমেরিকার রাষ্ট্রপতির আসনে উপবিষ্ট হবার দুই দিন পরই বারাক ওবামা অত্যাচার ও নির্বাসনের কুখ্যাত প্রতীক গুয়ান্টানামো কারাগার বন্ধের নির্দেশ দেন।
এই ছিল মুক্তিপ্রাপ্ত ছায়াছবি “নিউইয়র্ক” এর পটভূমি। কাহিনীতে যাবার আগে কারিগরি দিক নিয়ে কিছু আলোচনা করি। ছায়াছবির চিত্রাধারণ আমার কাছে খুবই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য মনে হয়েছে। চিত্র ধারণ এমনভাবে নেওয়া হয়েছে যা দর্শনের পরে চোখকে বিনোদন দেয়। সম্পাদনাও ভাল হয়েছে। হিন্দি ছায়াছবির মত এই ছবিতেই গান ছিল তবে পার্থক্য এই গানগুলোকে নেপথ্যে ব্যবহার করে ছায়াছবির বাস্তব ভাবমূর্তিকে বলবৎ করা হয়েছে। ছায়াছবির পরিচালক কবির খান পরিচালনার দক্ষতায় সফল বলতে হবে। আদিত্য চোপড়া আর ইয়শ চোপড়ার প্রযোজনায় একটি ব্যবসা সফল ছায়াছবি। ছায়াছবির কাহিনী লেখেছেন সন্দীপ শ্রীবাস্তব। ছায়াছবির প্রথম দিকে ক্যাটরিনাকে একটু বেশি উচ্ছল তরুণী মনে হয়েছে যা ভাল লাগেনি। তবে পরবর্তীতে বিবাহিতা এবং মায়ের চরিত্রে তাকে খুব ভাল লেগেছে। জন আব্রাহাম ও নীলের অভিনয় ভাল লেগেছে। ভাল লেগেছে ইংরেজীর উচ্চারণ নিয়ে মার্কিন অফিসার আর ইরফান খানের সংলাপ। সব গানই ভাল।“তু নে জো না কাহা”- গানটি সব থেকে ভাল লেগেছিল। চলুন- এবার কাহিনীর পথে যাই।
সমীর(জন আব্রাহাম) একজন মুসলমান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক কিন্তু মনেপ্রাণে আমেরিকান। তেমনি মায়া(ক্যাট্রিনা কাইফ)- সামীরের সহপাঠিনী। তাদের সাথে যোগ দেয় সদ্য ভারত থেকে পড়তে যাওয়া আরেকজন- ওমর(নীল নিতিন মুখেশ)। তারা নিউ ইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ছায়াছবি শুরু হয়- এফবিআই এর একটি অপারেশন দৃশ্যের মাধ্যমে। রাস্তায় একটি ট্যাক্সিকে পাকড়াও করে তারা। গাড়ীতে পাওয়া যায় অবৈধ অস্ত্র। গাড়ির মালিক ওমরকে এর রেশ ধরে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় এফবিআই ইন্টারোগেশন সেলে।জিজ্ঞাসাবাদে ওমর তার শুরুর দিকে দিনগুলীর কথা বলে যায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অফিসার রোশনের(ইরফান খান) কাছে। ফ্ল্যাশ ব্যাক করে নিয়ে যাওয়া হয় ওমরের ভার্সিটির প্রথম দিনের সকালে। সেখানে পরিচয় হয় মায়ার সাথে, সমীর সাথে। সে দুর্বল হয়ে পড়ে মায়ার প্রতি। কিন্তু একসময় প্রকাশ পায়- মায়া সামীরকে ভালবাসে। এই অপ্রত্যাশিত শক সে সহ্য করতে পারেনি। সেই সময়ে ঘটে ৯/১১ হামলা। আর সেই সময়েই শহর ছেড়ে চলে যায় ওমর।
সমীর এসাইনমেন্টের জন্য টুইন টাওয়ারের বিভিন্ন এংগ্যালের ছবি তুলেছিল। তার প্রফেসরই তাকে এই কাজ দিয়েছিলেন। কিন্তু এই অপরাধে সন্দেহের বশে গ্রেফতার হয় সমীর। তাকে নিয়ে যাওয়া চোখ-মুখ বেঁধে। শুরু হয় অত্যাচার। নগ্ন করে রেখে দেওয়া হত। গলায় কুকুরের মত বেল্ট বেঁধে কুকুরের মত থাকতে দেওয়া হত। হাত উপরে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হত। মুখে কাপড় বেঁধে তার উপর প্রস্রাব করে টয়ল্যাটে ফেলে রাখা হত। এমনই বর্বর ছিল সে অত্যাচার। প্রাকৃতিক কাজ সারতে দেওয়া হত না- চাপ আসে তো কাপড়-চোপড়ে করে নিতে বাধ্য করত। গালি দিত- তোর মা বেশ্যা, তোর বোন বেশ্যা। (এই কাহিনী সাইড পটে আরেকজন বন্দীর জবানীতেও এসেছে।) একদিন পাশের সেলের এক বন্দী ধীরে ধীরে বলে- বেরিয়ে দিয়ে যদি নিজের অপমানের বদলা নিতে চাও তো যোগাযোগ কর। একসময় সমীর মুক্তি পায়। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে সে ফিরতে পারে না। মায়া তখন তার পাশে দাঁড়ায়- বিয়ে করে তারা। তাদের সংসার হয়। আর ওদিকে সমীর জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে- নিজের অপমানের প্রতিশোধ নিতে। এই খবর চলে যায় এফবিআইয়ের কাছে কিন্তু কোন প্রমান নেই। তাই তারা নাটক সাজিয়ে গ্রেফতার করে ওমরকে।
ওমরের কাছে প্রকাশ হয়ে যায় এফবিআইয়ের নাটক। তারা স্বীকার করে এবং তাদেরকে সাহায্যের জন্য হুমকি দেয়। একসময় বন্ধুকে সাহায্য করার কথা ভেবে ওমর রাজি হয়। এভাবেই সাজানো নাটকে সে ফিরে যায় সমীর ও মায়ার কাছে। চলতে থাকে নাটকের অভিনয়- সমীরের পরিকল্পনা বের করার জন্য। একসময় ওমর সফল হয়। ওমরের উদ্দেশ্য মায়াও জানতে পারে। সমীরকে প্রাণে মারা হবে না এই ওয়াদায় সমীরকে ফিরিয়ে আনতে এবং পরিকল্পনা থেকে দূরে সরাতে মায়া রাজি হয়। সমীর তখন এফবিআই সদর দপ্তরে হামলার চূড়ান্ত পর্যায়ে। মায়াও সেই সময়ে সদর দপ্তরে এফবিআইয়ের ওয়াদার কাগজ নিতে। কিন্তু ওমরের কাছে তখন ধরা পড়ে সমীর হামলা করবে। বন্ধুকে এই কাজ থেকে বিরত রাখতে আর ভয়াবহ হামলা থেকে বাঁচাতে সে জানিয়ে দেয় রোশনকে। মূহুর্তেই চারিদিক থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘিরে ফেলে। ওমর তখন ছুটে যায়- সমীরের কাছে।সব কথা তাকে খুলে বলে । তাকে ফিরে আসতে বলে। মায়াও সেখানে চলে আসে। চলে আসে রোশন। ওদিকে হেলিকপ্টারে করে পজিশন নেয় আরও স্ন্যাইপার। সাথে এফবিআইয়ের প্রধান অফিসার। সমীরকে ফিরিয়ে আনতে চাইলেও শেষ রক্ষা হয় না। রোশনের মানা সত্ত্বেও প্রধান অফিসারের হুকুমে গুলির মুখে মারা যায় সমীর, মারা যায় মায়া।
……………..এই হলো মূল কাহিনী। আরও কিছু সাইড পটে বন্দীদের অত্যাচার আর সেই অত্যাচারের প্রভাব ফুটে উঠেছে। ছায়াছবিতে ফুটে উঠেছে- নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, বিচার বহীর্ভূত নির্বাসন- ঘৃণারই জন্ম দিয়েছে। সমীরের মত সাদা মনের মানুষকে জঙ্গী হতে বাধ্য করেছে। একজন জঙ্গী হলে তো সকল জঙ্গী হয়ে যায় না। কিন্তু এফবিআইয়ের ভুল নীতি সমীরের মত মনে-প্রাণে আমেরিকানকে বিপথে ঠেলে দিয়েছে।রোশন আর ওমরের কথোপকথনে কিছু বিশেষ দিক উঠে এসেছে। ওমর রোশনকে বলেছিল- আপনারাই বানিয়েছেন সমীরকে সন্ত্রাসী। নির্বাসনে থাকার পরে একজন মানুষ আর তার পূর্নের অবস্থায় যেতে পারে না। তখন রোশন বলেছিল- অত্যাচারের বদলা নিয়ে সন্তাসী হওয়া তো বিচার হতে পারে না। তুমি আর আমি মুসলমান। ইসলাম শান্তির ধর্ম, বাস্তবেও যা কিছু শান্তির পক্ষে সেখানে ইসলাম। হ্যাঁ এই দেশ(আমেরিকা) অনেক ভুল করেছে। আমাদেরকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু এই দেশের অনেক ভাল দিক আছে যা আমাদের ভুললে চলবে না। আমি এক মুসলমান- মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও এই স্পর্শকাতর মামলা আমার কাছে সঁপা হয়েছে।একমাত্র এই দেশে তা সম্ভব। একথা ভুলে যেওনা তুমি আর আমি এখানে অভিবাসী হয়ে এসেছিলাম- এখানে আপনাদের জায়গা হয়েছিল, নিজেদের স্বাধীনতা পেয়েছিলাম আমরা।সেই স্বাধীনতাকেই বাঁচাতে আজ আমি এসব করছি। মুসলমান্দের বিপক্ষে যে ঘৃণা এই দেশে বা অন্য দেশে জন্ম নিচ্ছে তাকে সম্মানে বদলে নেবার কাজ আমাদের মুসলমানকেই করতে হবে। ..................
শেষ অংশে ওমর আর রোশনের সংলাপও গুরুত্ববহন করে। সমীর আর মায়ার ছেলে প্রতিযোগীতায় খেলছিল। রোশনকে দেখা করতে আসে। কথাপ্রসঙ্গে রোশন ওমরকে বললো- তুমি আর আমি সমীরকে মারিনি। সমীর যে পথে বেছে নিয়েছিল তাই তাকে মেরেছে। ওমর জবা দিলো-“ কিন্তু মায়া? তার কি দোষ ছিল?” দোষ কারোরই ছিল না- সবাই সবার জায়গায় ঠিক ছিল। শুধু সময়টাই ছিল খারাপ। খারাপ সময়ে মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, দেশ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়- তাই হয়েছে। ওমর আবার জিজ্ঞেস করে- “কি মিললো আমায় আপনার এই অপারেশনে? আমার দুই বন্ধুর মৃত্যু আর আপনার জন্য একটি মেডেল। কি প্রাপ্তি হলো? যেদিন আপনার কাছে এর জবাব মিলবে সেদিন কথা বলবো”। রোশন বললো- “জবাব তো তোমার সামনেই।এক আমেরিকান দলে মুসলমান বাচ্চা খেলছে যার বাবা ছিল সন্ত্রাসী। আর ঐ ছেলেকেই এরা কাঁধের উপরে হিরোর মত তুলে রেখেছে।আমরা এটুকুই পেয়েছি। এই আমাদের প্রাপ্তি।
ছায়াছবিটি শিক্ষামূলক- আমেরিকানদের জন্য আর মুসলমান্দের জন্যও। যে মেসেজ ছায়াছবিটি দিতে চেয়েছে তা দিতে সফল হয়েছে- এই ছায়াছবির সফলতাই তাই বলে।
"
Subtitle সহকারে আপনার পছন্দের মুভি উপভোগ করুন
আপনি যে ছবির সাবটাইটেল খুঁজছেন সেই ‘ছবির নাম subtitle 1cd’ লিখে google search দিন। search result এ প্রথমেই যে সাইটের নাম আসবে সেখানে ক্লিক করুন। উদাহরণস্বরুপ- মনেকরি আপনি Angels & Demons সিনেমাটির সাবটাইটেল খুঁজছেন। গুগলে সার্চ দিন Angels & Demons subtitle 1cd. আপনার search result এ প্রথমেই যে সাইট recommend করবে তাতে ক্লিক করুন। search result এ প্রথম সাইটটা থাকে www.opensubtitles.org এই সাইটে আপনি আপনার কাঙ্খিত সকল ধরনের মুভির সাবটাইটেল পাবেন।
এই সাইটে আপনার কাঙ্খিত মুভির English Subtileএর ZIP ফাইলটি ডাউনলোড করুন। এবার ZIP ফাইলটি কপি করে যে ফোল্ডারে আপনার সিনেমাটি রয়েছে সেই ফোল্ডারে পেস্ট করুন। ZIP ফাইলটি Extract করে আপনার মুভি ফাইলের নামে Extract ফাইলটি Rename করুন। যেমন- আপনার মুভি ফাইলটির নাম Angels & Demons হলে Extract ফাইলটিও ঠিক Angels & Demons নামে Rename করুন।
এবার সাবটাইটেল লোড করবার পালা।আমি মুভি দেখার জন্য VLC media player ব্যবহার করি। Open source এই মিডিয়া প্লেয়ারে সব ধরনের ভিডিও ফরমেটই সাপোর্ট করে। যাইহোক আপনার প্রিয় মুভিটা মিডিয়া প্লেয়ারে play করে Video>> Subtitles Track এ subtile fileটি Load করে দিন। ব্যস, সব কাজ শেষ। এবার Subtitle সহকারে আপনার পছন্দনীয় মুভিটি উপভোগ করুন।
কম্পিউটার টিপস এন্ড ট্রিকস"