
গ্যুল বাহারের পেছন পেছন হাটার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু বুঝতে পারলাম গ্যুলবাহার আমার মনের ইচ্ছা টের পেয়ে গেছে। আল্লাহ পাক মেয়েদের আলাদা একটা সেন্সর দিয়েছেন তাদের শরীরের যেখানের তাকানো হোক না কেন সেটা তারা টের পায়। মাদ্রাসার বড় হুজুরের মেজো মেয়েটার দিল এই ব্যাপারে খুবই উদার ছিলো। কলতলায় পানি আনার সময় তার আচল যখন তখন পড়ে যেত। জহির আর আমি যে আম গাছের চিপা থেকে সব দেখতাম কিভাবে টের পেত কে জানে? কলতলার মেহরীন!! কি ছিলো তোর শরীর
আর কি ছিলো তোর কল চাপার ভঙ্গি। হায় আরব দেশ! আর কি পাবো এমন কলতলা! আর কি কেউ এভাবে ৯০ ডিগ্রিতে ঝুঁকে কল চাপবে।
একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে গেলো বুক থেকে। আল্লাহপাক যা করেন ভালর জন্যই করেণ।
কে জানে হয়তো আরো ভালো কোন ব্যবস্থা রেখেছেন আমার জন্য! আরব মেয়ে আগে কাছে থেকে দেখিনি। জহিরের বৌকেই দেখলাম প্রথম। দেখতে জহিরের চেয়ে বড়সড়। এই প্রশান্ত সাগরে দরকার কালবোশেখী ঝড়। জহির কি পারে সেই ঝড় তুলতে! নাকি ডিঙ্গি বৈঠা চালায় সে? নৌকার বৈঠা দিয়ে কি আর জাহাজ চ'লে? জহিরের মাথায় আগে ঘনকালো বাবরি চুল ছিলো? কে জানে বিছানায় কে কার চুল টেনে ধরে! আবারও আন্ডারওয়্যার সুবিধা টের পেলাম। জোয়ান বয়সের এই এক অসুবিধা। কথা নাই বার্তা নাই লুঙ্গি হয় তাবু।
রবীন্দ্রনাথ ওত পেতে ছিলেন! শক্ত হলেই শালা হাজির হয়! মাথার ভেতর গেয়ে উঠলেন
বোলতা কহিল, এ যে ক্ষুদ্র মউচাক,
এরই তরে মধুকর এত করে জাঁক!
মধুকর কহে তারে, তুমি এসো ভাই,
গ্যুলবাহার, কবে ডাকিবে সখি! এই মউচাক কি তবে শুধু জহিরই পাইলো? আর ভাবা গেলো না,,,,,,,কোথাও ভেজা ঠেকছে কি? ওযু আবার গেছে! এদিকে ফজরের নামাজের সময় হয়ে গেলো? আমি নামাজ কাজা করতে চাই না। নামাজটা পড়তেই হবে!
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে ট্যাক্সিতে উঠলাম। উদ্দেশ্য হিলস হোটেল। আজ রাতটা থেকে সকালে তাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। গাড়িতে গ্যুল মাঝখানে বসলো আর জহির আর আমি দুইপাশে। আহা! গ্যুল এর নরম শরীর মাঝে মাঝেই আমার শরীরে স্পর্শ করছে। কে বলেছে বিদ্যুত উৎপাদনে গ্যাস লাগে? বিদ্যুততো আমার শরীরের তৈরি হচ্ছে! রাস্তাগুলো কোন হারামী এত মসৃন করে তৈরি করেছে কে জানে। দুইএকটা খানাখন্দ থাকলে আরো বেশি ঝাকুনি হতো। গ্যুল আরো বেশি ক'রে আমার উপর ঝুকে
পড়তো!
হোটেলে ঢুকতেই পথম চোখে পড়লো রিসিপসনিষ্ট মেয়েটির দিকে। এতা নারী নয়! পুরো শরীরটাই একটা শিল্পকর্ম। অজান্তেই বলে উঠলাম:
ওগো পসারিনি, দেখি আয়
কী রয়েছে তব পসরায়।
এত ভার মরি মরি কেমনে রয়েছ ধরি,
কোমল করুণ ক্লান্তকায়।
মেয়েটি কি বুঝলো কে জানে! শরীর ঝাকিয়ে চুল হাত দিয়ে হাসি মুখে কথা বলছে! আরবী ভাষায় কথা হচ্ছে! কিছুই বুঝতে পারছি না। নর নারীর এই সাক্ষাতে কে বলেছে সংলাপের দরকার হয়? এই যে বেশ বুঝতে পারছি তাকে! বুঝতেই যদি না পানি তবে কেন মনের গহীনে শুধু একটি খাট ভাসছে! লিফটে উঠার আগে মেয়েটির দিকে আবার তাকালাম। মেযেটির চোখের ভাসা পড়তে আমার অসুবিধা হয়নি। এই ভাষা পড়ার জন্য আরবি জানতে হয় না।
শুধু আখি দিয়ে আখির সুধা পান!
লিফটে চলা শুরু করা মাত্র আমার ওজন বেড়ে গেলো , ধুম করে বসে পড়লাম, কি হইলো! গজব পড়লো নাকি? ওজন বেড়ে গেলো কেনো> জহির বললো কিছু হয়নাই, উঠে দাড়া। লজ্জা পেলাম খানিকটা! দুই রুমের একটা হোটেলরুম ভাড়া নিলাম আমরা।
হাত মুখ ধুয়ে জহির বললো খাবারের জন্য রেডি হ'তে। টাট্টিখানা দেখে খুবই অবাক হলাম। সারাজীবন লুঙ্গি তুলে কাজ সেরেছি এখন দেখি ভিন্ন ব্যবস্থা! গোল একটা কি যেন তার উপর নাকি সব করতে হবে! তবে মেশিনের যে অবস্থা তাকে একবার হাতের শিল্পকর্মটা না করলেই নয়। হুজুর মানুষ আমি, এভাবে হস্তশিল্প চর্চা করলে আল্লাহ নারাজ
হ'তে পারে। তাই উচ্চশির অবস্থা রেখেই বের হয়ে এলাম। উচ্চশির নিয়ে নজরুলের খুব গর্ব। ব্যাটা যদি জানতো উচ্চশির নিয়ে প্যান্ট পড়তে কত অসুবিধা!!হোটেল রুম থেকে বের হতেই দেখি জহির আর গ্যুল রেষ্টুরেন্ট যাওয়ার জন্য তৈরি। জহির পড়েছে একটা ফতোয়া টাইপ কাপড়, আর গ্যুল পড়েছে একটা স্বচ্চ ম্যাক্সি। ম্যাক্সি জিনিটা গ্রামে নাই, জহিরের চুরি করা বড় হুজুরের প্লেবয় ম্যাগাজিনে প্রথম দেখি। ভেতরে আবার ছোট এক সেট ড্রেস পড়ে মেয়েরা। এই জিনিসও গ্রামে দেখিনাই। জহিরের বৌকে দেখে বুঝলাম ম্যাক্সির নিচেও ঘটনা আছে। আশ্চর্য জহির মনে হলো এইসব দেখে না। মেয়েদের শরীরে আল্লাহ পাক কি দিয়েছেন কে জানে! খাওয়ার আগে একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছিলো, এখন জহিরের বৌকে দেখে সব ঘুম পালিয়েছে। শরীরের প্রতিটা পেশি শক্ত হয়ে গেলো! মনে হচ্ছে একটা মরুভুমি পারি দিতে পারবো!
মালাউন রবিঠাকুর আবার মাথায় উকি দিলেন। বদের বদ সময় মতো হাজির হয়। স্বচ্চ ম্যাক্সি পড়া মেয়ে রবিবাবু দেখেছিলেন কিনা কে জানে। মনে হয় দেখেছেন না হলে তিনি কিভাবে লেখেন!
এসেছিনু দ্বারে ঘনবর্ষণ রাতে,
প্রদীপ নিবালে কেন অঞ্চলাঘাতে।
কালো ছায়াখানি মনে পড়ে গেল আঁকা,
বিমুখ মুখের ছবি অন্তরে ঢাকা,
কিসের মুখ ঢাকা!! কি যে ঢাকা তা কি আমি বুঝতে পারি না? আল্লাহপাকের রহমতের ভান্ডার এভাবে আমার উপর বর্ষিত হবে কে জানে? খাবার টেবিলে বসে আধো আলোতে বসে খাচ্ছি! গ্যুল এর মায়াবী মুখ আর নরম দেহপল্লব জলতে আগুনেরর মত। সেই আগুনে পুরুষ অনায়াসে পুড়ে যায়!
--------------
তখন জানতেও পারিনি এই আগুনে একদিন আমি আমার শরীরের প্রতিটা পরমাণু জ্বালাবো। তখনও জানিনা, একদিন গ্যুলের যৌবনের নদীতে বান ডাকবে, আমার আকাশেই সেদিন ঝড় উঠবে! ঝড়ের আঘাতে সেদিন গ্যুল'র নদীতে জাগবে প্রচন্ড ঢেউ।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন